ঢাবিতে গাঁজা কাণ্ড নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন: প্রক্টর অফিসে ছাত্রদল নেতার ‘ছাড়াতে যাওয়া’র দাবি মিথ্যা

🔎 Fact-Check Summary

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলে গাঁজা সেবনের অভিযোগে আটক শিক্ষার্থীদের ঘটনা সত্য।
তবে ডেইলি ক্যাম্পাসের দাবি—একজন ছাত্রদল নেতাকে তাদের ছাড়াতে প্রক্টর অফিসে দেখা গেছে—প্রমাণহীন ও বিভ্রান্তিকর।

---

ঘটনার প্রেক্ষাপট

১৬ আগস্ট বিকেলে শেখ মুজিবুর রহমান হলের পুরাতন ভবনের একটি কক্ষে চারজন প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীকে গাঁজা সেবনের সময় আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা হলেন—

• আরিফ ফয়সাল (বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগ)
• মো. সোহেল রানা (ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগ)
• মো. রুহুল আমিন (ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ)
• ইয়ালিদ বিন সাদ (ছাপচিত্র বিভাগ)

পরবর্তীতে প্রক্টোরিয়াল টিম মানবিক বিবেচনায় মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়।

---

ডেইলি ক্যাম্পাসের প্রতিবেদন

ডেইলি ক্যাম্পাস তাদের প্রতিবেদনে দাবি করে:

1. আটক শিক্ষার্থীদের একজন ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী।
2. স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাহদীজ্জামান জ্যোতি তাদের ছাড়াতে প্রক্টর অফিসে যান।
3. সংবাদে ব্যবহৃত ফটোকার্ডে লেখা হয়:
   “ঢাবিতে গাঁজা কাণ্ডে ছাত্রদল কর্মী আটক, ছাড়াতে প্রক্টর অফিসে নেতা!”

---

যা পাওয়া গেলো তদন্তে

প্রক্টোরিয়াল টিমের বক্তব্য

সহকারী প্রক্টর ড. মো. মিরাজ কোবাদ চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন:

• কাউকে ছাড়াতে কোনো রাজনৈতিক সুপারিশ আসেনি।
• প্রশাসন কোনো রাজনৈতিক নেতার সাথে কথা বলেনি।
• শিক্ষার্থীরা প্রথমবর্ষের হওয়ায় কেবল মুচলেকার ভিত্তিতেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতার বক্তব্য

মাহদীজ্জামান জ্যোতি বলেন:

• তিনি সেন্ট্রাল লাইব্রেরি থেকে হলের দিকে যাচ্ছিলেন।
• অসুস্থ থাকার কারণে মুখে মাস্ক পরেছিলেন।
• প্রক্টর অফিসের সামনে পরিচিত কিছু জুনিয়রের সাথে কথা বললেও, কোনো কর্মকর্তা বা শিক্ষকের সাথে তার কথোপকথন হয়নি।
• কিছুক্ষণ পর তিনি হলে ফিরে যান।
• সংবাদে ব্যবহৃত ফটোকার্ডে তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যুক্ত করা হয়েছে।

---

Verdict: Misleading

বিষয়	সত্য	বিশ্লেষণ
চার শিক্ষার্থী গাঁজা সেবনের অভিযোগে আটক	✔️	প্রক্টোরিয়াল টিম নিশ্চিত করেছে
তাদের মধ্যে একজন ছাত্রদল কর্মী ছিলেন	❓	ব্যক্তিগতভাবে অভিযোগ থাকলেও প্রশাসন নিশ্চিত করেনি
ছাত্রদল নেতা প্রক্টর অফিসে গিয়ে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছেন	❌	প্রশাসন ও অভিযুক্ত উভয় পক্ষই অস্বীকার করেছে

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত:
সংবাদটির মূল ঘটনা (গাঁজা সেবন) সত্য হলেও, ছাত্রদল নেতাকে প্রক্টর অফিসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ছাড়ানোর চেষ্টা করার দাবি প্রমাণহীন ও বিভ্রান্তিকর।

---

তথ্যসূত্র

• ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো. মিরাজ কোবাদ চৌধুরীর বক্তব্য
• ছাত্রদল সদস্য সচিব মাহদীজ্জামান জ্যোতির বিবৃতি
• ডেইলি ক্যাম্পাস প্রতিবেদন https://thedailycampus.com/universities/214101(১৬ আগস্ট)

---